GET ALL UPDATES VIA FACEBOOK JUST PRESS Like BUTTON


[X] CLOSE
+Get this at Tech Prévue
-->
<a href="https://www.youtube.com/watch?v=XeIKf4VldeI">Here</a>
শিপলু কণাকে প্রচন্ড ভালোবাসে কণাও ভালোবাসে কিন্তু সামান্য ভুল বুঝাবুঝির কারণে তাদের ব্রেক-আপ হয়ে যায়। এক বছর পর তাদের দেখা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। কণার বান্ধবী অধরা ও শিপলুর বন্ধু রিফাতের আজ গায়ে হলুদ। বিয়েতে তাদের দেখা হয় কণা হলুদ শাড়ি পড়ে আছে দেখতে অসম্ভব সুন্দরী লাগছে। শিপলু দেখে চোখ ফেরাতে পারছে না। সবকিছু মনে হচ্ছে স্বপ্নের মত সাজানো চিত্রলিপি। দ্বিতীয় বার কণার প্রেমে পড়লো শিপলু। দুজন দুজনকে দেখছে অপলক দৃষ্টিতে ঠিক যেন অমাবস্যার চাঁদ। শিপলু কণার কাছে এগিয়ে গেলো এবং বললো- - _কেমন আছো? - _ভালো, তুমি? - _কি করে ভালো থাকছো তুমি? - _কেনো তুমি ভালো নেই? - _তোমাকে ছাড়া কেমনে ভালো থাকি বলো? - _হঠাৎ এত দিন পরে এসব কথা বলছো কেনো? - _তোমাকে তো অনেক খুঁজেছি পাই নাই। শেষ সম্বল ফোন নাম্বার একটা ছিলো সেটাও বন্ধ। - _তা ঠিক তোমার সাথে যে দিন আমার ঝগড়া হইছে সে দিন থেকেই ওই নাম্বার বন্ধ আছে। আসলে ফোন-ই ব্যবহার করি না, কোনো প্রয়োজন হয় না। - _আসলে ওই দিন কি আমাদের ঝগড়া করা মানাইছে? - _ তুমিই তো আগে শুরু করছিলা আমার কোনো কথা শুনছিলা আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিছিলা। - _আসলে আমার মাথা ঠিক ছিলো না। কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। - _তার পরেও আমি দুই মাস নওগাঁ ছিলাম। অতপর যখন আব্বুর বগুড়াতে পোস্ট হয়ে গেলো আর এখানেই আছি। যখন নওগাঁতে ছিলাম তখনও তো কোনো খোঁজখবর নাও নাই বেঁচে আছি না মরে গেছি। - _আসলে তখন তোমার প্রতি আমার খুব রাগ উঠছিল। কিন্তু যখন কথা গুলো শুনলাম স্বাধীনের মুখে সে দিনের কাহিনী পুরোটাই মিথ্যা ছিলো। আমার ভুল ভেঙে গেলো তার পর আমি তোমাকে নওগাঁর সব জায়গায় খুঁজেছি। এমন কি প্রতিটা বাসার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম যদি তোমার দেখা পাই। কোনো বন্ধুর কাছে তোমার ঠিকানা নেই। - _আমি যে বেঁচে আছি সেটা আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া। জীবনের প্রতি এমন ঘৃণা জন্মাই ছিলো আস্তে আস্তে একটু স্বাভাবিক হয়েছি। আবার এখন তোমার দেখা পেলাম পুরনো ব্যাথা জেগে উঠছে বুকের মাঝে। - _তুমি কি কারো জীবনের সাথে জড়াইছো? - _আমার তো কোনো ছেলেকে সহ্য হয় না। মনে হতো সবাই এমন ছলনাময়। ভালোবাসা শব্দকেই ঘৃণা করতাম। - _আবার যদি সেই পুরনো দিনগুলি ফিরিয়ে চাই তোমার কাছে দিবা কি আমায়? - _না আমি একবার যে কষ্ট পেয়েছি সেটা আবার পেতে চাই না। - _আমি তোমাকে আর কষ্ট দিতে চাই না। আমি তখন ভুলের মাঝে ছিলাম। প্লিজ একবার সুযোগ দাও। তোমায় আমার সব ভালোবাসা উজার করে দিবো। - _আমি বিশ্বাস করি না তুমি মিথ্যা বলছো। - _প্লিজ বিশ্বাস করো তোমাকে আমি হারিয়ে যেই কষ্ট পেয়েছি সেই কষ্ট ঘোচাবার জন্য তোমাকে আমার জীবনে খুব প্রয়োজন। - বিডিলাভ২৪,কম _আমার খুব ভয় হয় ছেলেরা অভিনয় করে শুধু মেয়েদের মন নিয়ে। - _প্লিজ কণা সব ছেলেদের ইঙ্গিত করা ঠিক না। কেউ অভিনয় করে না। শুধু একটা ভুলের কারণে সব কিছু নষ্ট হয়ে যায়। সব ছেলেরা এক না তুমি তো আমায় জানো আমি কেমন? - _কচুঁ জানি, জানলে কি আর এমন কষ্ট পেতাম। কণা কেঁদে কেঁদে বলছে তুমি খুব পঁচা।"" - _শিপলু বুকের মাঝে জরিয়ে ধরলো কণাকে। আর হাত দিয়ে চোখের পানি আলতো করে মুছিয়ে দিলো। - তারা শপথ করলো কেউ কখনোও কাউকে ছেড়ে যাবে না শত দূঃখে- কষ্টে। - বিঃদ্রঃ হারানো ভালোবাসা ফিরে পায় এমন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি খুব কমই আছে বর্তমান যুগে। আর যারা ফিরিয়ে পায় তারা তাদের ভালোবাসাকে কদর করতে শিখুন। NB:আমার এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক ও বাস্তবতার সাথে এর কন মিল নেই।
-তিথি -বল -তোর হাতটা একটু ধরি ? -আচ্ছা মাঝে মাঝে এত নাকামো করিস কেন বলত ? এমন ভাবে বলছিস যেন আগে কখনও আমার হাত ধরিস নি ? -ধরেছি তো । কিন্তু এখন অন্যভাবে ধরতে চাচ্ছি । -কিরকম ? -বুঝিস না ? -নাহ তো । -আই লাভ ইউ । -তারপর ? -তারপর তো তুই বলবি । -আমি কি বলব ? -তুই বল , “আই লাভ ইউ” -আই হেইট ইউ । -সত্যিই ? -হুম । তোকে না বলেছি আমাকে এসব কথা বলবি না । আমি এসব পছন্দ করি না । -তোকে ছাড়া আমার জীবন অন্ধকার । -তো আমি কি করব ? -............... -ধেৎ মুড টাই অফ করে দিলি । .................. বলেই তিথি উঠে চলে গেল । আর পিছন থেকে রাহাদ তার পথের দিকে তাকিয়ে রইল । এক অসম্ভব অবাস্তব প্রেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সে ............... ... . . তিথি আর রাহাদ ক্লাসমেট । ভার্সিটিতেই ওদের পরিচয় । রোল নাম্বার পরপর হওয়ায় বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য দুজনকে একসাথে কাজ করতে হয় । এর মাধ্যমেই ওরা ধীরে ধীরে অনেক ভাল বন্ধু হয়ে যায় । শুধুই বন্ধু ! এর বেশি কিছু নয় । কারণ দুজনেই জানে এর বেশি আর সম্ভব নয় ..................... . . কিন্তু আজ কয়েকদিন ধরে রাহাদ নিজেকে কোন ভাবেই বোঝাতে পারছে না । তার কাছে মনে হচ্ছে তার এই জীবনটাতে তিথি ছাড়া অন্য সবকিছুই বৃথা । ওর সারাজীবনের স্বপ্ন ছিল এমন একজন জীবনসঙ্গী যে ওকে বুঝবে , ওর কষ্টগুলো শেয়ার করবে , ওর যখন মন খারাপ হবে তখন ওকে কাছে টেনে নেবে , ভালবাসবে , ওর মন ভাল করে দেবে । . আর এই সবগুলো গুণই তিথির মধ্যে আছে । তিথির হাসি , কান্না , রাগ , অভিমান সবকিছুই যেন রাহাদকে চম্বুকের মত আকর্ষণ করে । এই কয়েকবছরেই তিথির এত কাছাকাছি এসে গেছে যে , নিজের সবচেয়ে দামী বস্তু মনটা তিথিকে দিয়ে আজ নিজেকে সর্বস্বান্ত বানিয়ে ফেলেছে । কিন্তু রাহাদ নিজেও জানে , তিথি কখনই তার হবে না , তিথি যদি নিজ থেকেও এসে বলে , “রাহাদ , আমি তোকে ভালবাসি ” তারপরেও সম্ভব নয় । কারণ সমাজ-সংসার তাদের এই ভালবাসা কখনই মেনে নেবে না । তাদের দুজনের মাঝে যে ধর্ম নামক বিশাল এক আকাশচুম্বি দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে । এই দেয়াল পেড়িয়ে কখনই রাহাদ তিথির কাছে যেতে পারবে না............ . . বাসায় এসে সোফায় ধপ করে বসে পড়ল রাহাদ । তিথির সাথে গত পাঁচ ঘন্টায় কোন কথা হয় নি । বিকেলের ঘটনাটা নিয়ে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে রাহাদের । তাই অনেকটা অপরাধবোধ আর খানিকটা অভিমান থেকেই তিথিকে ফোন দেয় নি সে । অভিমান হল এই কারনে যে , সে জানে তিথিও তাকে মন থেকে অনেক ভালবাসে । কিন্তু মেয়ে তো !!!! বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না । নিজেকে নিজে কষ্ট দেবে কিন্তু মুখ ফুটে বলবে না , “ রাহাদ তুই ই আমার সব” . . আরো একটা ঘন্টা পেরিয়ে গেল , এখনও তিথির সাথে কথা হয়নি । ওকে কি সরি বলা দরকার ? ভাবতে ভাবতেই ফোনটা হাতে নিল রাহাদ । ঠিক সঙ্গে সঙ্গেই ভাইব্রেশন দিয়ে মোবাইলের স্ক্রিনটা আপনাআপনিই জ্বলে উঠল । স্ক্রিনের নাম টা দেখেই রাহাদের মনে অদ্ভুদ এক আনন্দের শিহরণ বয়ে গেল । তিথির ফোন । -হেলো -রাহাদ ? -হুম । বল । -কিরে কোন খোঁজ খবর নাই । -কিসের খোঁজ খবর । -রাগ করেছিস আমার উপর ? -কেন ? রাগ করব কেন ? -বিকেলে তোর সাথে ওরকম করলাম যে । -নাহ । ঠিকই করেছিস । আমি কিছু মনে করি নি । -তাই ? তাহলে ফোন দিস নি কেন ? -এমনি কথা বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল না । তাই । -ও আচ্ছা । তাহলে তো আমিই ডিস্টার্ব করলাম । তাই না । -জানি না । -আচ্ছা তাহলে তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে । তোকে আর কখনও ডিস্টার্বড হতে হবে না । -কেন? -আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে । -ও আচ্ছা । কনগ্রচুলেশনস । -থ্যাংকস । -ওয়েলকাম । -শীঘ্রই দাওয়াত পেয়ে যাবি । -আচ্ছা । -এখন রাখি । অনেক কাজ । -আচ্ছা । গুড নাইট । -গুড নাইট । ............ কথাগুলো একনাগাড়ে বলতে তিথির অনেক কষ্ট হচ্ছিল । গলাটাতে যেন পাথর আঁটকে গিয়েছিল । ফোনটা রেখেই তাই সব কষ্ট চোখের অশ্রুর মধ্য দিয়ে বের করে দিতে চাইল । অনেক কাঁদল তিথি । কারণ সেও জানে এখন রাহাদও তার মতই কাঁদছে............ . দুই দিন পর ...... . আজ তিথিকে ছেলে পক্ষ থেকে দেখতে আসবে আর একই সাথে বিয়ের দিনও ঠিক করবে । রাহাদের সাথে ওই যে কথা হয়েছিল , আর কথা হয় নি । আর এই দুই দিনে তিথি আদৌ কিছু খেয়েছে না খায় নি সে নিজেও জানে না । যতই সময় যেতে থাকল ততই যেন ওর বুকের উপর একটা পাথর বড় হতে থাকল । বুকের বাম পাশটায় একটা চিনচিনে ব্যাথা করছে । চোখ গুলো কেমন যেন ধুয়ে আসছে । সাড়া শরীর যেন আড়ষ্ঠ হয়ে আসছে...... নাহ সে পারবে না । এই বিয়ে তার দাড়া সম্ভব নয় । কখনই না । দৌড়ে গিয়ে মায়ের কাছে বলল , “মা , আমি এই বিয়ে করতে পারব না ।” বলেই বেড়িয়ে পরল । মাকে কিছুই বলার সুযোগই দিল না............ . . রাহাদের বাসায় দরজা খুলল ওর আম্মু । তিথি ওনাকে দেখেই অনেকটা পাগলের মত বলল , -আন্টি রাহাদ কোথায় ? -আরে ওর কথা বল না । কি হয়েছে কে জানে , গত দুদিন কিছু খায়ই নি । সারক্ষন বেলকুনিতে বসে কি যেন ভাবে , আর কিছুক্ষণ পর পর দরজার দিকে যেন কারোর জন্য তাকিয়ে থাকে -কোথায় ও ? -ওর রুমেই , হয়ত বেলকুনিতে । ......কোনরকম অপেক্ষা না করেই তিথি ছুটে গেল রাহাদের কাছে । দেখল ,বেলকুনিতে বসে আছে নির্বিকার ভাবে । -রাহাদ? -তিথি , উঠে দাড়াল রাহাদ । দুজনেরই চোখ ভিজে গেছে । তারপর তিথি রাহাদকে জড়িয়ে ধরে এতদিনের সব জমানো কান্নাই যেন কাঁদতে লাগল , বলল , -পারলাম না রাহাদ । কান্নার মধ্যেও অনেকটা হাসি মুখ করে রাহাদ বলল , -জানতাম -তুই অনেক খারাপ । -কেন ? -এত কষ্ট দিস কেন আমাকে ? -আর তুই মনে হয় আমাকে অনেক সুখ দিস ? -হুম । কান্নার মাঝে হাসল তিথিও । ওর ওই কান্নাভরা হাসিতে কেমন যেন আরো বেশি মায়াময় লাগছিল......... . এভাবেই চলতে থাকল দুজনের অসম্ভব প্রেম অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে..... NB:আমার এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক ও বাস্তবতার সাথে এর কন মিল নেই।
বর্তমান ফেসবুক প্রেম.... লিখা : At Hridoy একদিন একটা গ্রুপে দুইটা ফ্রেন্ড ছিল তাদের মধ্যে কিছু গ্রুপ চ্যাট হচ্ছিলো. ছেলেটি বলছে,ও আমার জানের জান, কেন করো তুমি এত অভিমান? ও আমার প্রাণো পাখি ময়না, তোমাকে কেউ আঘাত করলে আমার প্রাণে যে আর সয়না। মেয়েটি বলছে,,HOW STUPID. কি মধুর তোমার মিষ্টি মিষ্টি কথা। সবকিছু ভুলিয়ে দিলো মোর যত অগ্রীম অগ্রীম ব্যাথা। ছেলেটি বলছে,how talking to about?কি বলো এসব? OM,শান্তি,OM,শান্তি, তোমার কথা শুনে আসে শুধু ক্লান্তি। এবার গ্রুপের আর একটা ফ্রেন্ড বললো,, মেয়েটির প্রশ্নে ছেলেটির জবাবে, আসলে এদের দুজনের স্বভাবে ঘটলো এমন ঘটনা। কিভাবে জানি না! মেয়েটা ছেলেটার পর উঠলো হর্ঠাৎ রেগে!! ছেলেটার কানের পাশে ঝর্পাৎ করে কি যেন পড়লো এমন বেগে। তখন সেই ছেলেটা বলছে, বাবার লাথি,মায়ের ঝ্যাটা, আজ তুমিও দিলে আজ মোরে ছ্যাকা?? হাতে পায়ে ধরি ,I am sorry, জীবনে যদি বেচেঁ থাকি , তোমার মত ফ্রেন্ড ফেসবুকে পাবো ভরি ভরি! Good by.,,, মোরাল :::: আজকাল এভাবেই বেশির ভাগ চলে ছেলে মেয়েদের ফেসবুক আলাপন... যা গড়তে ভাঙ্গতে বশি সময় লাগে না NB:আমার এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক ও বাস্তবতার সাথে এর কন মিল নেই।
একটা রিলেশনশীপের শুরুর দিকে.. সময়গুলো ভালোই যায়। নতুন একজন মানুষকে জয় করে নিতে পারার জন্যও ছেলে-মেয়ে উভয়ের মধ্যেই একটা আলাদা ভাললাগা কাজ করে। একে-অপরকে জানতে শুরু করে, চিনতে শুরু করে। নিজেদের মধ্যের সবকিছুর ভেতরেই চলতে থাকে শেয়ারিং, কেয়ারিং আর কমিটমেন্ট। মানুষটাকে অনেক স্মার্ট মনে হয়। বারবার নিজের প্রতি আফসোস হয়, “আর কয়েকদিন আগে কেন জীবনে আসলে না?” ফোনালাপের একটা বিশাল জায়গা জুড়ে থাকে তখন এই বন্ধুমহল। মেয়েটির মুখে ছেলেবন্ধুদের কথা; কিংবা ছেলেটির মুখে মেয়েবন্ধুগুলোর কথা শুনতেও তখন খুব একটা খারাপ লাগে না। সেটাতে সায় দেয়াতে.. একে- অপরের প্রতি আলাদা আস্থা আসে, “মানুষটা বড্ড ওপেন মাইন্ডেড; আমি রিলেশন করেও আবদ্ধ নই” ... এমনকি রাতে ফোন ওয়েটিং-এ পেলেও, “আরে ব্যাপার না” বলে এড়িয়ে যাওয়াটাও, আরেকজনের কাছে গ্রীষ্মের শীতল বাতাসের মতই লাগে ...দিন দিন এভাবেই হাজারো খুটিনাটির উপর ভিত্তি করে বাড়তে থাকে ভালবাসা, বাড়তে থাকে একে-অপরের উপর সিরিয়াসনেস। ‘একজন মানুষকে দেখে’, কখনই তার উপর ভালবাসা আনা সম্ভব নয়। তখন যেটা আসে, সেটা ভাললাগা। কিন্তু ধীরে ধীরে.. ব্যাপারটা যখন ‘দেখা’ থেকে ‘বোঝা’তে চলে যায়, ভালবাসাও তখনই আসে। অর্থাৎ শুরুর দিকে.. “সে আমার জীবনে আসলে তো ভালোই হয়” টাইপ অনুভূতিটা ভাললাগা; আর “তাকে আমি চাই.. মানে চাইই” টাইপ অনুভূতিই ভালবাসা! তখন আর বন্ধুদের গল্প শুনতে ভাল লাগে না। কিন্তু অপর মানুষটা তখনও আটকে থাকে, তার সেই ইনোসেন্ট অনেস্টিতে। আর তখনই ‘ফোনালাপ’ কনভার্টেড হয় ‘ঝড়ালাপ’এ ... আলাপটা আলাপই থাকে, শুধু ফোনে আর মনে, চলতে থাকে ঝড়! এক পর্যায়ে; তখন রাতে ফোন ওয়েটিং-এ পেলে, “তুমি আমার চাইতে তোমার বন্ধুদের বেশি টাইম দাও” টাইপ সেন্টেন্সটা তীরের মত করে, অপরের ইগোতে হানা দেয়। যেখান থেকে আগে রিপ্লাই আসলো হাসিমুখে “আরে ব্যাপার না”; সেই সেখান থেকেই এখন রিপ্লাই আসে, “তো তুমি দাও না মনে হচ্ছে” ...ঝগড়ার শুরু এখান থেকেই; যেটাকে স্মার্ট মানুষেরা আদর করে ‘কমপ্লিকেশন’ বলে ডাকেন। কিন্তু সেই মানুষেরা তাদের সেই ‘কম্বিনেশন’এ আসা তথাকথিত ‘কমপ্লিকেশন’ শব্দটাকে তাঁড়াতে, অ্যাট দা বিগেইনিং-এ “আরে ব্যাপার না” ফ্রেজটা ব্যবহার করতে পারেন না। সম্পর্ক টেকে বিশ্বাসে.. শুধু ভালবাসায় পেট ভরে না। কিছু সময়, অনেক কঠিন মুহুর্তও পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় এই একটা ছোট্ট ফ্রেজের মাধ্যমে... “আরে ব্যাপার না” ..
কোন এক বসন্তের প্রাণবন্ত সকাল। অনির্দিষ্টের মতো ছেলেটা একটা শপিং কমপ্লেক্সের ভিতর এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করতে থাকে। একসময় তার চোখ পড়ে যায় একটা CD-স্টোরের কাউন্টারে দাঁড়ানো খুব সুন্দর একটা মেয়ের দিকে। মেয়ের হাসিটা ছিল অপূর্ব রকমের সুন্দর , ছেলেটা প্রথম দেখায় মেয়েটার প্রেমে পড়ে যায়। এটাই মনে হয়, Love At First Sight. ছেলেটা সামনে এগিয়ে একটা CD নিয়ে মেয়েটার দিকে বাড়িয়ে দেয়। ছেলেটা: "আমি এই CD-টা কিনতে চাচ্ছিলাম।" মেয়েটা: (হাসিমুখে) "তুমি চাইলে আমি এটা তোমার জন্য সুন্দর দেখে একটা প্যাকেটে Wrapping করে দিতে পারি।" ছেলেটা মাথা নিচু করে সম্মতি জানায়। মেয়েটা কিছুক্ষনের মধ্যে শপ-এর ভিতর থেকে CD-টা Wrapping করে নিয়ে আসে। ছেলেটা CD-টা নিয়ে বাসায় চলে যায়। এরপর থেকে ছেলেটা প্রতিদিন CD-শপে এসে একটা করে CD কিনতে থাকে। মেয়েটা আগের মতোই তা Wrapping করে দেয়। ছেলেটা Wrapping করা CD নিয়ে গিয়ে বাসায় তার সেল্ফ-এ রেখে দেয়। ছেলেটা অনেক চেষ্টা করে মেয়েটাকে তার ভালোলাগার কথা বলার, কিন্তু তা বলতে পারে না। ছেলেটার মা একসময় বিষয়টা জানতে পারে। তখন তিনি তার ছেলেকে পরামর্শ দেন সাহস করে মুখ ফুটে একবার কথাটা বলে দেখতে। পরদিন ছেলেটা আবার CD-শপে যায়। প্রতিদিনের মতো সে আজও একটা CD কেনে। ছেলেটা ভালোলাগার কথা বলার চেষ্টা করে এবং আজও ব্যর্থ হয়। মেয়েটা CD-টা Wrapping করার জন্য ভিতরে চলে যায়। এমন সময় ছেলেটার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলা করে। সে সাথে সাথে একটা কাগজের মধ্যে লিখে, "কেন জানি তোমাকে আমার অসম্ভব রকমের ভালো লেগে গেছে। আমরা কি আগামি পরশুদিন বিকালে কফিশপে দেখা করতে পারি।" লেখাটার নিচে সে তার নাম ও ফোন নাম্বার লিখে রাখে। এরপর কাগজটা মেয়েটার ডেস্কের উপর রেখে ছেলেটা দৌড়ে চলে যায় CD-শপ থেকে। [গল্পের এই পর্যায়ে এসে ছেলেটার আর মেয়েটার নামকরণ করা যাক। ধরা যাক ছেলেটার নাম 'জন' আর মেয়েটার নাম 'মারিয়া'।] পরশুদিন বিকাল। এক ঘন্টা ধরে মেয়েটা কফিশপে অপেক্ষা করছে ছেলেটার জন্য। ছেলেটার অনুপস্থিতি দেখে একসময় মেয়েটা ডায়াল করে ছেলেটার ফোন নাম্বারে। ছেলেটার মা ফোন রিসিভ করে। - "হ্যালো" -- "জন আছে? ওকে একটু দেওয়া যাবে?" - "কে বলছো তুমি?" -- "আমি মারিয়া" - "মারিয়া, তুমি কি জান না 'জন' গতকাল রোড অ্যাক্সিডেন্টে ........." ছেলেটার মা আর কথা কমপ্লিট করতে পারেন না, তার দুইচোখ বেয়ে কান্না চলে আসে। তিনি ধীরে ধীরে তার মৃত ছেলের রুমে যান। একসময় তার চোখ পড়ে যায় ছেলেটার সেল্ফ-এর উপর সাজিয়ে রাখা অসংখ্য Wrapping করা CD-এর উপর। তিনি অবাক হয়ে দেখেন যে একটা CD-ও Wrapping করা অবস্থা থেকে খোলা হয়নি। তিনি একটা CD হাতে নিয়ে Unwrapped করেন। CD-এর ভিতর একটা কাগজ খুঁজে পান তিনি। তাতে লেখা আছে, "কেন জানি তোমাকে আমার অসম্ভব রকমের ভালো লেগে গেছে। আমরা কি কোন একদিন বিকালে কফিশপে দেখা করতে পারি - 'মারিয়া'।" সাথে সাথে তিনি আর একটা CD হাতে নিয়ে Unwrapped করেন। আবার এই CD-এর ভিতরেও তিনি আর একটা কাগজ খুঁজে পান। তাতে লেখা আছে, "কেন জানি তোমাকে আমার অসম্ভব রকমের ভালো লেগে গেছে। আমরা কি কোন একদিন বিকালে কফিশপে দেখা করতে পারি - 'মারিয়া'।" *** বিদেশি গল্পের ছায়া অনুসারে। NB:আমার এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক ও বাস্তবতার সাথে এর কন মিল নেই।
-hi - জি - how r u? -জি ভালো। আপনি? -kise poro? - জি এস সি দিবো :D -lol - কেন? - তাহলে লেখা গুলো কি কপি কর? একটু আগে এক আপুর সাথে সেইম এইভাবে চ্যাট হয়ছে.. উনার ভঙ্গিটা এমন ছিল যে ছোট 'রা কিছুই করতে পারে না তাদের ঘিলু বলতে কিছুই নেই...! আচ্ছা একজন মানুষকে কেন তার বয়সের অনুপাত দিয়ে দেখে হবে? ছোটদের মাঝে কি অসাধারন কোন প্রতিভা থাকতে পারে না? পৃথিবীর সব মহান কাজ গুলো কি বড়'রাই করছে? সবার উদ্দেশ্য একটা কথা বলি. কে বড় কিংবা ছোট এই গুলো না দেখে তার ভেতরে থাকা সুপ্ত প্রতিভা কে সম্মান করুন। কারন আজকে জম্ম নেওয়া শিশুটাই আগামী দিনের ভবিষ্যত।
Apon+Tanjila. Powered by Blogger.

You can replace this text by going to "Layout" and then "Page Elements" section. Edit " About "